৩৬তম জন্মদিনে মেসির ৩৬টি উল্লেখযোগ্য ঘটনা

 

আগেও অনেক জন্মদিন এসেছে লিওনেল মেসির। তবে এবারেরটি নিশ্চয় সবচেয়ে আলাদা, বিশেষ কিছু। এই প্রথম যে বিশ্বকাপ জয়ী হিসেবে জন্মদিন পালন করছেন ফুটবলের জাদুকর।

জীবনের বসন্তে মেসির ৩৬ বছর পূর্ণ হলো শনিবার। ৩৬তম জন্মদিনে তার রূপকথাময় ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য ৩৬টি ঘটনা-রেকর্ড তুলে ধরা হলো এখানে:

# ১: বাথরুমের জানালা ভেঙে জয়ের নায়ক

ফুটবলে মেসির শুরুটাকে নিওয়েলসের সঙ্গে যুক্ত করে থাকে অনেকে। তবে নিওয়েলসের যাওয়ার আগে তখনকার ছোট্ট মেসি চমক দেখান স্থানীয় ক্লাব গ্রান্দোলির হয়ে খেলে। জন্মশহর রোসারিওর ছোট ক্লাবটিতে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত খেলেন তিনি।

নিওয়েলসে গিয়ে তার বীরত্বপূর্ণ মুহূর্ত আসে ছয় বছর বয়সে। ছোটদের ওই ফাইনালে মেসি অবশ্য শুরু থেকে খেলতে পারেননি। বাড়িতে বাথরুমে আটকে গিয়েছিলেন তিনি। বারবার সাহায্য চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি বাথরুমের জানালাগুলির একটি ভেঙে মাঠে চলে আসেন। তখন সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল না তার দল। মেসি মাঠে নেমে ২০ মিনিটের মধ্যে করে ফেলেন হ্যাটট্রিক এবং জিতে যায় দল। সেখানে পুরস্কার হিসেবে একটি বাইসাইকেল পান মেসি।

৩৬তম জন্মদিনে মেসির ৩৬টি উল্লেখযোগ্য ঘটনা
‘সেই মুহূর্তের মতো খুশি তাকে আগে কখনও দেখিনি’- একবার বলেছিলেন মেসির মা।

# ২: ৯ বছর বয়সে কোপা আমিস্তাদ কান্তোলাও চ্যাম্পিয়ন, সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে ১০ গোল

১৯৯৭ সালে দক্ষিণ আমেরিকার যুব টুর্নামেন্টে খেলতে নিওয়েলসের সঙ্গে পেরুতে যান মেসি। গ্রিল চিকেন খেয়ে পেটের অসুস্থতা নিয়েও তিনি খেলেন। তবে পারফরম্যান্সে সেটির বিরূপ প্রভাব পড়েনি। সেমি-ফাইনালে দলের ৭-০ গোলের জয়ে সবগুলি গোলই করেন মেসি। ফাইনালে ৭-১ গোলে জয়ে তিনি জালের দেখা পান তিনবার।

শুধু মাঠের পারফরম্যান্সেই নয়, ম্যাচ শেষেও আলাদা করে নজর কাড়েন মেসি। শেষ বাঁশি বাজার পর সতীর্থদের সঙ্গে উদযাপনে যোগ দেওয়ার আগে কিছুটা সময়ে নিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সান্ত্বনা দেন তিনি।

# ৩: ন্যাপকিন পেপারে চুক্তি

এই ঘটনা মোটামুটি সবারই জানা। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রায়ালের জন্য পরিবারের সঙ্গে বার্সেলোনায় যান মেসি। সঙ্গে ছিলেন দুই আর্জেন্টাইন প্রতিনিধি ফাবিয়ান সোলদিনি ও মার্তিন মনতেরো এবং স্পেনের প্রতিনিধি হোরাসিও গাজ্জোলি। ট্রায়ালে সবাইকে চমকে দেন মেসি। তাই চুক্তির আশা নিয়ে রোসারিওতে ফেরে তার পরিবার।

সেই সময়ের বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান গাসপার্ত অবশ্য হরমোনজনিত সমস্যায় ভোগা ১৩ বছর বয়সী একটি ছেলের সঙ্গে চুক্তিতে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেছিলেন। তাকে রাজি করানোর জন্য বার্সেলোনার তখনকার টেকনিক্যাল সেক্রেটারি কার্লো রেক্সাসকে চাপ দেন গাজ্জোলি ও এজেন্ট হোসে মারিয়া মিনগেলা। শেষ পর্যন্ত চুক্তির কথা লেখা হয়েছিল একটি ন্যাপকিন পেপারে, তারিখটা ছিল ১৪ ডিসেম্বর।

# ৪: বার্সেলোনায় আনঅফিসিয়াল অভিষেক

যুব দলে চমক দেখানোর পর ২০০৩ সালের ১৬ নভেম্বর বার্সেলোনা মূল দলের জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগ এসে যায় মেসির। জোসে মরিনিয়োর পোর্তোর সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ ছিল সেটি। ১৪ নম্বর জার্সিতে ১৬ বছর বয়সী মেসিকে ৭৬তম মিনিটে বদলি নামান বার্সেলোনা কোচ। পরে মেসিই হয়ে ওঠেন ক্লাবটির ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়।

৩৬তম জন্মদিনে মেসির ৩৬টি উল্লেখযোগ্য ঘটনা
# ৫: বার্সেলোনায় অফিসিয়াল অভিষেক

পোর্তোর বিপক্ষে অভিষেকের প্রায় এক বছর পর, ২০০৪ সালের ১৬ অক্টোবর প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে বার্সেলোনার হয়ে অভিষেক হয় মেসির। ৩০ নম্বর জার্সিতে লা লিগায় এস্পানিওলের বিপক্ষে মাঠের ৮২তম মিনিটে দেকোর বদলি নামানো হয় তাকে। ১৭ বছর তিন মাস ২২ দিন বয়সে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয়ে যায় তার।

# ৬: বার্সেলোনার হয়ে প্রথম গোল

২০০৫ সালের ১ মে কাম্প নউয়ে লা লিগায় আলবাসেতের বিপক্ষে ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে সামুয়েল এতোর বদলি নামেন মেসি। ৮৯তম মিনিটে তার একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন রেফারি। পরের মিনিটেই মেসি জালের দেখা পান আবার, ব্রাজিলিয়ান গ্রেট রোনালদিনিয়োর পাস ধরে চিপ শট গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে গোলটি করেন তিনি। যা অনেকটাই ছিল বাতিল হওয়া গোলের মতো।

# ৭: আর্জেন্টিনার হয়ে অভিষেকে লাল কার্ড

আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির অভিষেকটা ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট বুদাপেস্টে হাঙ্গেরির বিপক্ষে প্রতি ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামেন তিনি। তবে মাঠ থাকতে পারেন স্রেফ ৪৫ সেকেন্ড। মাঠ ছাড়তে হয়ে তাকে লাল কার্ড দেখে।

# ৮: আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম গোল

২০০৬ সালের ১ মার্চ জাতীয় দলের হয়ে নিজের প্রথম গোলটি করেন মেসি, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে। যদিও সুইজারল্যান্ডে ওই ম্যাচে আর্জেন্টিনা হেরে যায় ৩-২ গোলে।

# ৯: বিশ্বকাপে মেসির প্রথম

২০০৬ সালে জার্মানি আসরে সার্বিয়া অ্যান্ড মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে ৭৬তম মিনিটে বদলি নেমে বিশ্বকাপে অভিষেক হয় মেসির। মাঠে নামার তিন মিনিটের মধ্যে এরনান ক্রেসপোর গোলে অবদান রাখেন তিনি। ১০ মিনিট পর নিজে করেন দলের ষষ্ঠ গোলটি। ম্যাচটি ৬-০ গোলে জেতে আর্জেন্টিনা।

৩৬তম জন্মদিনে মেসির ৩৬টি উল্লেখযোগ্য ঘটনা
# ১০: বার্সেলোনার হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক

২০০৭ সালের ১০ মার্চ কাম্প নউয় জাদুকরী পারফরম্যান্স উপহার দেন মেসি। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচে একাই করেন দলের তিন গোল। তিন নম্বর গোলটি ছিল ৯০তম মিনিটে, তাতে ৩-৩ ড্রয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। কাতালান ক্লাবটির হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিকটা তিনি পেয়ে যান ওই ক্লাসিকোতে।

# ১১: মেসির প্রথম ব্যালন দ’র

বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার ব্যালন দ’র মেসি জিতেছেন রেকর্ড সাতবার। যার প্রথমটি ছিল ২০০৯ সালের ১ ডিসেম্বরে। সেবার তিনি পেছনে ফেলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও শাভি এর্নান্দেসকে।

# ১২: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ৫ গোল

২০১২ সালের ৭ মার্চ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় বায়ার লেভারকুজেনের বিপক্ষে একাই পাঁচ গোল করেন মেসি। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় এক ম্যাচে পাঁচ গোল করা প্রথম খেলোয়াড় তিনিই। ম্যাচটি বার্সেলোনা জেতে ৭-১ গোলে। ২০১৪ সালে শাখতার দোনেৎস্কের হয়ে বাতে বরিসভের বিপক্ষে লুইস আদ্রিয়ানো ও ২০২৩ সালে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে লাইপজিগের বিপক্ষে আর্লিং হলান্ড এই কীর্তিতে মেসির পাশে বসেন।

# ১৩: এক বছরে ৯১ গোলের অবিশ্বাস‍্য কীর্তি

এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড মেসির। ২০১২ সালে ৬৯ ম্যাচে তিনি গোল করেন ৯১টি! যার মধ্যে বার্সেলোনার হয়ে ৭৯টি (লা লিগায় ৫৯টি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৩টি, কোপা দেল রেতে ৫টি, স্প্যানিশ সুপার কাপে ২টি) ও আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১২টি। তিনি ভেঙে দেন জার্ড মুলারের বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে এক বছরে ৮৫ গোলের রেকর্ড। সেবার ২৪টি অ্যাসিস্টও করেন মেসি।

# ১৪: আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি ট্রফি

২০১৪-১৫ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে লা লিগা জিতে মেসির ক্যারিয়ার ট্রফির সংখ্যা হয়ে যায় ২৪টি। পরে তিনি জিতেছেন আরও অনেক ট্রফি। তবে ওই ট্রফি জয়ের মধ্য দিয়ে এস্তেবান কাম্বিয়াসোকে ছাড়িয়ে সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ী আর্জেন্টাইন ফুটবলার হয়ে যান তিনি।

# ১৫: বার্সেলোনার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা

২০১৪ সালের ১৬ মার্চ লা লিগায় ওসাসুনার বিপক্ষে দলের ৭-০ গোলের জয়ে হ্যাটট্রিক করেন মেসি। তাতে পাউলিনো আলকান্তারাকে (৩৬৯) ছাড়িয়ে বার্সেলোনার ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যান তিনি।

# ১৬: লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা

স্পেনের শীর্ষ লিগে তেলমো সারার ২৫১ গোলের রেকর্ড ছোঁয়ার হাতছানিতে ২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর সেভিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামেন মেসি। তবে শুধু রেকর্ডটি ছোঁয়াই নয়, দলের ৫-১ গোলের জয়ে হ্যাটট্রিক করে নতুন চূড়ায় উঠে যান তিনি।

# ১৭: আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা

২০১৬ সালের শতবর্ষী কোপা আমেরিকার সেমি-ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ফ্রি-কিকে গোল করে গাব্রিয়েল বাতিস্তুতার ৫৪ গোলের রেকর্ড ছাড়িয়ে যান মেসি, হয়ে যান আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা।

৩৬তম জন্মদিনে মেসির ৩৬টি উল্লেখযোগ্য ঘটনা
# ১৮: বার্সেলোনায় অর্জনের ডালি

বার্সেলোনার হয়ে ৩৫টি ট্রফি জিতেছেন মেসি। এর মধ্যে রয়েছে ১০টি লা লিগা, চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, তিনটি উয়েফা সুপার কাপ, সাতটি কোপা দেল রে ও তিনটি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা। দলটির হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (৭৭৮) ও গোল (৬৭২) দুটি রেকর্ডই তার।

# ১৯: বার্সা থেকে পিএসজিতে

বার্সেলোনার আর্থিক দুরাবস্থার কারণে বাধ্য হয়ে ক্লাবটির সঙ্গে প্রায় দুই যুগের সম্পর্কের পাঠ চুকিয়ে ২০২১ সালে অগাস্টে দুই বছরের চুক্তিতে পিএসজিতে যোগ দেন মেসি।

# ২০: আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রথম ট্রফি

২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে এবং ২০০৭, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকা ফাইনালে হারের পর অবশেষে মেসি আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে প্রথম ট্রফির স্বাদ পান ২০২১ সালে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে তাদেরই মাটিতে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জয়ের মধ্য দিয়ে ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটায় আর্জেন্টিনা।

# ২১: স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফি

গোলের পর গোল, রেকর্ডের পর রেকর্ড, একগাদা শিরোপা- ফুটবল দুই হাত ভরে দিয়েছে মেসিকে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত অপ্রাপ্তি তবু ছিলই তার- বিশ্বকাপ জয়। অবশেষে ক্যারিয়ারের গোধূলি বেলায় ধরা দেয় সেই স্বপ্নের ট্রফি। ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফির স্বাদ পায় আর্জেন্টিনা, কাটে বিশ্ব মঞ্চে তাদের ৩৬ বছরের শিরোপা খরা।

# ২২: বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ

কাতার আসরের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নেমে বিশ্ব মঞ্চে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েন মেসি। তিনি পেছনে ফেলেন জার্মানির লোথার মাথেউসের ২৫ ম্যাচ খেলার আগের রেকর্ড।

৩৬তম জন্মদিনে মেসির ৩৬টি উল্লেখযোগ্য ঘটনা
# ২৩: মেসির যত ব্যালন দ’র

রেকর্ড ৭ বার (২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২ (প্রথম চারবার ফিফা ব্যালন দ’র নামে), ২০১৫, ২০১৯, ২০২১ (শেষের তিনবার শুধু ব্যালন দ’অর)

# ২৪: মেসির যত ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু

(ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে লিগে সর্বোচ্চ গোল): ৬ বার (২০০৯-১০, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯)

# ২৫: আর্জেন্টিনার বর্ষসেরা ফুটবলার

১৫ বার (২০০৫, ২০০৭, ২০০৮, ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৩, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৯, ২০২০, ২০২১, ২০২২)

# ২৬: ক্লাব বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল

২ বার (২০০৯, ২০১১)

# ২৭: বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল

২ বার (২০১৪, ২০২২)

# ২৮: লা লিগায় রেকর্ড

২০১১-১২ মৌসুমের লা লিগায় ৫০ গোল করেন মেসি; যা এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।

# ২৯: ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে রেকর্ড

ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড মেসির , ৪৯৬টি, এর মধ্যে বার্সেলোনার হয়ে ৪৭৪ টি এবং পিএসজির হয়ে ২২টি।

# ৩০: ক্লাসিকোয় রেকর্ড

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মধ্যে ক্লাসিকোয় সবচেয়ে বেশি গোল মেসির, ৪৫ ম্যাচে ২৬ গোল। ১৮ গোল করে রিয়াল মাদ্রিদ গ্রেট আলফ্রেদো দি স্তেফানোর সঙ্গে যৌথভাবে দুইয়ে আছেন রোনালদো।

# ৩১: চ‍্যাম্পিয়ন্স লিগে রেকর্ড

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে বেশি গোল মেসির, ৮০টি।

# ৩২: বিশ্বকাপে রেকর্ড

একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচটি বিশ্বকাপে অ্যাসিস্ট করার কীর্তি মেসির

# ৩৩: লা লিগায় আরেক রেকর্ড

লা লিগার ইতিহাসে টানা ২১ ম্যাচে গোল করার রেকর্ডও মেসির।

# ৩৪: বার্সেলোনায় রেকর্ড

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সেলোনার হয়ে মেসি খেলেছেন ৫৮৩ ম্যাচ, ক্লাবটির ইতিহাসে স্পেনের বাইরের খেলোয়াড়দের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।

# ৩৫: পিএসজি অধ্যায়ের সমাপ্তি

পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তির মেয়াদ শেষ হতো এই মাসে। তার আগেই নিশ্চিত হয়ে যায় প্যারিসে চুক্তি নবায়ন করছেন না তিনি। ক্লাবটিতে শেষের সময়টা তার মোটেও ভালো কাটেনি। পিএসজির সমর্থকদের একটা অংশ তাকে দুয়ো দিয়ে গেছে নিয়মিত।

# ৩৬: নতুন ঠিকানা

বার্সেলোনায় ফেরা, সৌদি আরবের ক্লাবে পাড়ি জমানো, সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ঠিকানা নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যেই এই মাসের শুরুতে মেসি জানিয়ে দেন, মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেবেন তিনি। তাতে ইউরোপিয়ান ফুটবলের পাঠও চুকেবুকে যায় তার।

Leave A Reply

Your email address will not be published.