সরকার সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর-আ ফ ম খালিদ হোসেন

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সংবিধানে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এদেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মচর্চার স্বাধীনতা রয়েছে। সরকার সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর।

রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে ধর্ম উপদেষ্টার অফিস কক্ষে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অফিসের প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাৎকালে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এসব কথা বলেছেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এদেশের মানুষ একইসময়ে স্বাচ্ছন্দ্যে রোযা ও পূজা উদযাপন করে থাকে। এখানে কখনোই মারাত্মক কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঘটেনি। এদেশে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। সরকার প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মচর্চা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করছে। এদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক পৃথক ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট রয়েছে।

ড. খালিদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ধর্মের নয়-দশটি প্রতিষ্ঠানে কমবেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃতঅর্থে সাম্প্রদায়িক কোন সংকট থেকে এই হামলা ঘটেনি। এরূপ হামলা যারা করেছে তারা দুর্বৃত্ত এবং রাজনৈতিকভাবে হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই এটা করেছে।

এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান, এছাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়ে জেলা প্রশাসকদেরকে ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে পত্র দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য পেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সংস্কার বা মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

ওএইচসিআরের প্রতিনিধিদলের প্রধান রোরি মানগোভেন বলেন, তরুণদের আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের কোথাও কোথাও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। কিছু ভুল তথ্যও মিডিয়াতে প্রচার হয়েছে। তিনি আন্দোলন পরবর্তী সরকারের সার্বিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। এছাড়া, তিনি পুণরায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসবেন বলে জানান।

এসময় অন্যানের মধ্যে ধর্মসচিব মু. আঃ হামিদ জমাদ্দার, মানবাধিকার কর্মকর্তা মিজ লিভিয়া কোসেনজা ও আলেকজান্ডার জেমস এমির এল জানডি উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.